শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমীর সকাল শুরু হয় নানা উপাচারে দেবীর অর্চনা দিয়ে। মণ্ডপে মণ্ডপে তখন ঢাকের বাজনায় মুখোরিত।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ফেনীর ১৪০টি পূজামণ্ডপে দশমীর বিহিত পূজার পর দেবীর চরণ ছুঁয়ে শেষবারের মত আলিঙ্গন করেন ভক্তরা। পূজা শেষে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দশমীর পূজা-অর্চনা। নানা উপাচারে পর ঘট বির্সজন করেন ভক্তরা। এরপর শুরু হয় সিঁদুর খেলা। এর মধ্য দিয়ে অসুর বধ ও সব অকল্যাণ দূর করে মর্ত ছাড়বেন দেবী, ফিরে যাবেন স্বামীগৃহ- কৈলাস ধামে। দুঃখ-দুর্দশা-বিপদ-আঘাত অতিক্রম করে তিমির বিনাশী হওয়ার এমন প্রার্থনাই জানান ভক্তরা।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ফেনীসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে প্রতিমাগুলো নিয়ে আসা হয় কালিপাল দশমী ঘাটে। এখানে বিসর্জনের পূর্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।
ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাজিব খগেশ দত্তের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শুশেন চন্দ্র শীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম জাকারিয়া, ফেনী পৌর মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আতেয়ার রহমান, ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন সুলতানা, ফেনী মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন, পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট প্রিয় রঞ্জন দত্ত।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, সোনাগাজী পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, ফেনী সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহীদ খোন্দকার, ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, ডিবি পুলিশের ওসি রঞ্জিত বড়ুয়া, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আবদুল ওয়াজেদ, মো. মনিরুজ্জামান, পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য শম্ভু বৈষন্ব, শান্তানু পাল, স্বরাজ চক্রবতী, সঞ্জয় বণিকসহ বিপুল সংখ্যক পূজারী। আলোচনা শেষে একে একে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এসএইচডি/এইচএমএস/এসএ