বুধবার (০৯ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে বুয়েটের শহীদ মিনার চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হলো- ১. সিসিটিভির ফুটেজ ও জিজ্ঞাসাবাদ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে শনাক্তকারী খুনিদের প্রত্যেকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৭. বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কেন ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হননি; ৩৮ ঘন্টা পর উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিরুদ্ধাচরণ করেন। বুধবার দুপুর ২টার মধ্যে ভিসি সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে জবাবদিহিতা করতে হবে।
৮. আবাসিক হলগুলোতে র্যাগিংয়ের নামে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সব প্রকার শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। এর সঙ্গে জড়িত সবার ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। ৯. নিরাপত্তার স্বার্থে সবগুলো হলের প্রত্যেক ফ্লোরে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করতে হবে। ১০. শেরেবাংলা হল প্রভোস্টকে ১১ অক্টোবর বিকেল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত বুয়েটের সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বুয়েটের শহীদ মিনার চত্বরে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হবে। ফাহাদের স্মরণে এই মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিজ নিজ ক্যাম্পাসে পালনের জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।
তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রমের জন্য অস্বস্তিতে থাকেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাই এ কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হোক। নয়তো বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
রোববার (০৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলায় আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ফাহাদ বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
আরকেআর/টিএ