ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতায় দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৯
প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতায় দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশ দুই ধাপ পিছিয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের অডিটোরিয়ামে এক প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল প্রতিযোগিতা সূচকে বাংলাদেশ এ বছর দুটি ধাপ পিছিয়ে ১৪১টি দেশের মধ্যে ১০৫তম অবস্থানে রয়েছে।

২০১৮ সালে ১৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৩তম।

সিপিডি ২০০১ সাল থেকে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে আসছে। এদিন একযোগে বাংলাদেশসহ ১০০টি দেশে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে।
 
মোয়াজ্জেম বলেন, ‘গ্লোবাল কম্পেটিটিভনেস রিপোর্ট ২০১৯ এ সিঙ্গাপুর প্রথম অবস্থানে রয়েছে এবং এশীয় দেশগুলোর মধ্যে চীন আগের অবস্থান ধরে রেখেছে। এছাড়া ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া ও নেপাল ভাল অবস্থানে রয়েছে। তবে ভারত আগের অবস্থান থেকে ১০ ধাপ এবং পাকিস্তান ৩ ধাপ পিছিয়ে যথাক্রমে ৬৮ ও ১১০ এ অবস্থান করছে। সিঙ্গাপুর ২০১৮ সালে অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। এবার তারা প্রথম হয়েছে, আর যুক্তরাষ্ট্র প্রথম অবস্থান থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে এসেছে।  

একটি দেশের অবস্থান বিচারের জন্য প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা, পণ্য বাজার, শ্রম বাজার, আর্থিক ব্যবস্থা, বাজারের আকার, বাজারের গতিশীলতা, নতুন ধারণার আত্মীকরণ- এই ১২টি মানদণ্ড ব্যবহার করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।

এসব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ১০০ ভিত্তিক সূচকে সব মিলিয়ে এবার বাংলাদেশের স্কোর হয়েছে ৫২.১, গতবছরও বাংলাদেশের স্কোরে ৫২.১ ছিল। তবে অন্যান্য দেশ ভাল করায় আমরা পিছিয়ে পড়েছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ১২টি পিলারের মধ্যে ১০টি পিলারে অবনতি হয়েছে এবং দুটি পিলারে উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশের পণ্যবাজার ও স্থাস্থ্য খাতে উন্নতি হয়েছে। তবে আইসিটি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও প্রশাসন এবং সুশাসনের দিক থেকে আমরা পিছিয়ে পড়েছি।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পেছানোর দুর্বলতাগুলো ব্যবসায়িক গতিশীলতা, শ্রমবাজার, পণ্য বাজার এবং দক্ষতার মধ্যে রয়েছে। তিনি সরকারকে আইসিটি সেক্টরে বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর এবং শ্রম দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন।

সিপিডির সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ৯৩টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ও ৭৭ জন ব্যবসায়ীর বক্তব্য নেওয়া হয়েছে জরিপের জন্য। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্য়ন্ত সময়ের তথ্য নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯/আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা
এসএমএকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।