বুধবার (৯ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের মিনি কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ক্যাসিনো ব্যবসা দুদক আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ নয়।
এ তালিকায় কোনো মন্ত্রী বা সাংসদ আছেন কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো কিছুই অনুসন্ধান না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না।
সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনো খেলার মাধ্যমে দেশের অর্থ পাচার হয়েছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, এখন অনেক কিছু সহজ হয়ে গিয়েছে। সিঙ্গাপুরে বা মালয়েশিয়ায় জুয়া খেলতে গেলে, অবশ্যই পাসপোর্ট নিয়ে যেতে হয়েছে। যার তথ্য দুই দেশের কাছেই আছে। সুতরাং এ ধরণের অভিযোগ আসলে, খুব সহজেই সনাক্ত করা যাবে এবং তথ্যগুলো যাচাই করবো।
‘ব্যাংকগুলো থেকে পাচার হয়ে যাওয়া ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ইতোমধ্যে আদায় করা সম্ভব হয়েছে। এতে আমরা খুশি না। কারণ, এ টাকাগুলো অবৈধভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছিল। আমরা এখনো বিভিন্ন ব্যাংকের ওপর আসা অভিযোগ তদন্ত করে যাচ্ছি। ৫৬টি মামলা চলমান। আরও ৫-৬টি মামলা অপেক্ষামান। ব্যাংকগুলোর মামলা নিয়ে আমরা বিশেষ দৃষ্টি রাখছি। কারণ, টাকাগুলো আসলে কোথায় যাচ্ছে, সেটা আমরা সব সময় নিশ্চিত হতে পারছি না। ’
এর আগে ঢাকা ল’ রিপোর্টস থেকে প্রকাশিত দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান সম্পাদিত ‘দ্যা এন্টি-করাপশন কমিশন অ্যাক্ট অ্যান্ড মানি লন্ডারিং প্রিভেনশন অ্যাক্ট উইথ সাম আদার রিলেটেড ল’স রিগার্ডিং ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
ডিএন/এইচএডি