ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন সম্রাট

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৯
স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন সম্রাট র‌্যাবের হাতে আটক সম্রাট/ফাইল ছবি

ঢাকা: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড পাওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) সকালে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. আফজালুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সম্রাটের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে কখনোই হার্টের রোগীদের চিকিৎসকরা আশঙ্কামুক্ত বলে থাকেন না।

সেক্ষেত্রে সম্রাট মঙ্গলবারের তুলনায় আজ স্থিতিশীল আছেন।

তিনি আরো জানান, আগে থেকে রোগী সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালের দেওয়া বেশ কিছু ওষুধ খেতেন। ওই ওষুধের পাশাপাশি আরও কিছু নতুন ওষুধ যোগ করা হয়েছে।

হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। তিনি বর্তমানে স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের সব সদস্য সকালে তাকে দেখে গেছেন। মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ডা. মহসিন আহমেদ সাংবাদিকদের সম্রাটের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলেও জানান ডা. আফজালুর রহমান।

অসুস্থবোধ করায় মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে সম্রাটকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। পরে সেখান থেকে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদ সে সময় বাংলানিউজকে বলেন, সম্রাটকে ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পরামর্শ অনুযায়ী সম্রাটকে হৃদরোগ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ঢামেক সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সম্রাট কারাগারে অসুস্থবোধ করায় তাকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছিলেন কারারক্ষীরা। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে হৃদরোগ বিভাগে রেফার করেছেন।

সম্রাটের সঙ্গে থাকা কারারক্ষী মুজাহিদুল জানান, তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কারারক্ষী ও পুলিশি পাহারায় তাকে ঢামেকে আনা হয়েছিল।

এর আগে গত শনিবার (০৫ অক্টোবর) দিনগত গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

ওই গ্রামের জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে রোববার (০৬ অক্টোবর) দিনভর রাজধানীতে সম্রাট ও আরমানের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব।

এছাড়া মদ্যপ অবস্থায় পেয়ে আটকের সময়ই আরমানকে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

এরপর সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। আর আরমানের জায়গা হয় কুমিল্লা কারাগারে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এজেডএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।