বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম নাসিম রেজা এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত পরিদর্শক মো. আল-আমিন বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
রায়হান মিয়া রমনা থানার শিকদার বাড়ি এলাকার শাহজাহান মোল্লার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রায়হান লাখাই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের আব্দুল হাইকে বাবা ডেকে সেখানেই বসবাস করে আসছিলেন। ২০০৩ সালের ৮ আগস্ট একই গ্রামের শরীফ মিয়ার ছেলে রুবেলকে মাছ ধরার কথা বলে নৌকায় করে পার্শ্ববর্তী হাওরে নিয়ে বলাৎকারের চেষ্টা চালায় সে। শিশু রুবেল চিৎকার শুরু করলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাত-পা বেঁধে পানিতে ফেলে দেয় রায়হান। ঘটনার ৩ দিন পর হাওরে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। ১১ আগস্ট মরদেহ উদ্ধারের দিনই রুবেলের বাবা বাদী হয়ে রায়হানকে একমাত্র আসামি করে লাখাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীকালে ২০০৫ সালের ৫ অক্টোবর লাখাই থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান মিয়া আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ১৬ বছর পর ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক বাংলানিউজকে জানান, রায় ঘোষণার পর রুবেলের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সময: ১৩০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
আরএ