ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ভারত সফর সফল, অনেক কিছু পেয়েছি: মোমেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৯
ভারত সফর সফল, অনেক কিছু পেয়েছি: মোমেন সেমিনারে অতিথিদের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: এবারের ভারত সফর সফল হয়েছে, এ সফর থেকে বাংলাদেশ অনেক কিছু পেয়েছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। একই সঙ্গে, ফেনী নদীতে বাংলাদেশ ‘উইন সিচুয়েশন’-এ (বিজয়ী অবস্থা) আছে বলেও দাবি করেন তিনি। 

বুধবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে কূটনৈতিক বিষয়ক ম্যাগাজিন ডিপ্লোম্যাটস ম্যাগাজিন আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মোমেন বলেন, এবারের ভারত সফর সবচেয়ে সফল হয়েছে। এই সফর থেকে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি। বিশেষ করে, আমাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে প্রশিক্ষণের জন্য যাবে, বিদেশ থেকে গ্যাস এখানে এনে তাদের দেশে বিক্রি করা হবে। এতে বিক্রির একটা জায়গা হলো, দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরালো হলো।  

এসময় ফেনী নদীর পানি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মোমেন বলেন, অনেকেই এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে আর আপনারা (মিডিয়া) সেটাকে প্রমোট করছেন। ভারত আগেও পানি নিত, ভুটান থেকে নিত। এখন সেটা একটা লিগ্যাল রূপ পেলো। এটা তো আমাদের জন্য ভালো হয়েছে।

এর আগে ‘গত দশকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফল্য’ শীর্ষক এই সেমিনারে নিজ বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে প্রায় সাড়ে ছয় বছর স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছি। শুধু নিজের সময়ের কথা যদি বলি, প্রায় ৫২টি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ, যার একটিতেও হারেনি। এর কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেছে, কারও সঙ্গেই শত্রুভাবাপন্ন কিছু করেনি। আর নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের যে প্রতিশ্রুতি ছিল, দায়িত্বের পাশাপাশি সেগুলোও রক্ষা করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল, এই দেশ বিশ্ববাসীর জন্য শান্তির দ্বীপ হবে (পিস আইল্যান্ড)। সত্যি সত্যি অদূর ভবিষ্যতে তাই হবে বাংলাদেশ।  

বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফল্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, অন্য দেশ যেখানে সমস্যা সমাধানের জন্য বল প্রয়োগের পথ বেছে নেয়, বাংলাদেশ সেখানে আলোচনার পথে হাঁটে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গেও আগে আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করেছি। রোহিঙ্গা সমস্যাও আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করবো বলে আশা করছি। এর জন্য দ্বিপক্ষীয় ও অন্য বন্ধু রাষ্ট্র-সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।  

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি শক্তিশালী দিক হচ্ছে, আমরা নিরপেক্ষতা বজায় রাখি। কোনো একটি নির্দিষ্ট জোটের সঙ্গে আমরা পুরোপুরি মিলিয়ে যাই না। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন যে, আমরা ভারত-চীনের মতো দু’টি দেশের সঙ্গে কীভাবে সুসম্পর্ক বজায় রাখি? এর উত্তর হচ্ছে, ভারত ও চীনের সঙ্গে নিজেদের এবং দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সম্পর্ক বজায় রাখি। তাদের দুই দেশের মধ্যে সমস্যা থাকতেই পারে, সেটা তাদের নিজেদের বিষয়। আমরা তার মধ্যে পড়ি না।

ডিপ্লোম্যাটস ম্যাগাজিনের সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত শাহেদ আকবরের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ফারুক খান, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, ডিপ্লোম্যাটস ম্যাগাজিনের নির্বাহী সম্পাদক নাজিনুর রহিম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ফারহানা চৌধুরী। সেমিনারে জার্মানি, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এসএইচএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।