বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে নিপীড়নবিরোধী অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ব্যানারে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, একজন মন্ত্রী বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ছাড়া বাংলাদেশে কোনো কিছু হয় না। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ছাড়া যদি কোনো কিছু না হয় ছাত্রলীগের নেতারা তো পরিষ্কারভাবেই বলবেন আমাদের এই অধিকার তো দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ এই ছাত্রলীগ গঠন করে কে? নেতাদের নিয়োগ দেয় কে? আবার প্রয়োজন হলে বরখাস্ত করেন কে? সব তো প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আসে।
তেল, গ্যাস, বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির এ সদস্য সচিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ফাহাদ নিহত হয়েছে তার আগে তার মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। হলের প্রভোস্ট, হলের হাউস টিউটর এবং আবরার নিহত হওয়ার পরে ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দেখা যায়নি। আজ যদি আইন-আদালত ঠিক থাকতো তাহলে আসামির তালিকায় তারাও থাকতো। কারণ তারা দায়িত্ব অবহেলা করেছেন।
‘এজন্য এর আগেও শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট হয়েছে। নিহত হওয়ার পরে আমরা ফাহাদের নাম জানি। কিন্তু যারা পঙ্গু হয়েছে, যাদের শিক্ষাজীবন নষ্ট হয়েছে তাদের হিসাব তো আমরা জানি না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এসকেবি/এএ