ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্রতিবন্ধীদের’ শব্দটি অবমাননাকর: সুলতানা কামাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৯
‘প্রতিবন্ধীদের’ শব্দটি অবমাননাকর: সুলতানা কামাল সংবাদ সম্মেলন। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধীতার বিষয়ে নেতিবাচক খবর, ভাষা-পরিভাষা ‘প্রতিবন্ধীদের’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়, এটা অবমাননাকর। এখনো তারা ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করছে না। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের একজনকে মাত্র ৭০০ টাকা মাসিক হারে ভাতা দেওয়া হয়। যা কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। আর এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ভাতা কার্ড দেওয়ার নামে সম্মানী হিসেবে প্রথম ছয় মাসের টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়ে আত্মসাৎ করে। এদেরকে এখন শুদ্ধি অভিযানে আনা দরকার।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন- ২০১৩ বাস্তবায়ন, বিদ্যমান পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদ (এনসিডব্লিও)।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাজেদা আক্তার।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। সভাপতিত্ব করেন প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদের সভাপতি নাসিমা আক্তার।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইনের অধীনে ক্ষতিপূরণের আবেদন ও নিষ্পত্তির পর্যায় সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৩ সালে যে আইনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। আইন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট সাতটি প্রত্যাশার কথা তুলে ধরা হয়। একইসঙ্গে তুলে ধরা হয় বাস্তব পরিস্থিতি।

সভাপতির বক্তব্যে প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদের সভাপতি নাসিমা আক্তার জানান, ২০১৩ সালের এইদিনে আইনটির জন্ম হয়েছে। সে হিসেবে আজ এ আইনের জন্মদিন। বিগত ছয় বছরে এর কোনো অগ্রগতি হয়নি। বলতে গেলে আমরা অনেক পেছনে আছি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ও ব্লু ল’ ইন্টারন্যাশনাল এল এল পি’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে এনসিডিউব্লিও, এনজিডিও, ও ব্লাস্টের সহযোগিতায় ঢাকা, টাঙ্গাইল, পাবনাসহ সাতটি জেলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংস্থা ডিপিওসমূহের ক্ষমতায়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করছে। এর আগে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিসিএসসহ ১ম ও ২য় শেণির সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে শতকরা ১ শতাংশ কোটা সুবিধা থাকলেও এখন তা বাতিল হয়ে গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা শতকরা ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করতে হলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন বক্তরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
পিএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।