বুধবার (৯ অক্টোবর) গণভবনে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান যদি করতে চায়, করতে পারে।
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, বুয়েটের ছাত্ররা আছে, বুয়েট সিন্ডিকেট আছে, কমিটি আছে। তারা যদি মনে করে, বন্ধ করে দিতে পারে। এখানে আমরা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবো না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বলেন, এদেশে তো প্রতিটি সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা ছাত্ররাই নিয়েছে। সেই ছাত্রলীগ করা থেকে কিন্তু আমাদের ভাষা আন্দোলন।
তিনি বলেন, একটা সন্ত্রাসী ঘটনা এভাবে ঘটেছে- অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তো সংগঠন করা নিষিদ্ধ আছে। বুয়েট যদি মনে করে, তারা রাজনীতি নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। এটা তাদের ওপর।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একেবারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দিতে হবে, এটা তো মিলিটারি ডিকটেটরদের কথা। আসলে তারা এসেই তো সবসময় রাজনীতি নিষিদ্ধ, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ এটা তো তারাই করে গেছে। আমার দেশের নেতৃত্ব কিন্তু উঠে এসেছে ওই ছাত্ররাজনীতি থেকেই।
নিজে ছাত্ররাজনীতি করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, একটা ঘটনা ঘটেছে বলেই ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে কেন? আর আমি যেহেতু নিজেই ছাত্ররাজনীতি করে এসেছি, সেখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বলবো কেন? কোনো প্রতিষ্ঠান যদি করতে চায়, করতে পারে।
তিনি বলেন, আমি ছাত্ররাজনীতি করেই কিন্তু এখানে এসেছি। দেশের ভালো-মন্দ চিন্তা ওই ছাত্রজীবন থেকে আছে বলেই আমরা দেশের জন্য কাজ করতে পারি। যারা উড়ে এসে বসে, তারা আসে ক্ষমতাটা উপভোগ করতে। তাদের কাছে দেশপ্রেম থাকে না। রাজনীতিটা একটা শিক্ষার ব্যাপার, জানার ব্যাপার, ট্রেনিংয়ের ব্যাপার। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে, আস্তে আস্তে সে মন-মানসিকতা গড়ে ওঠে। সেটা ওই ছাত্ররাজনীতি থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা ভালো, তবে তা বালকের জন্য নয়- এটাও একটা কথা আছে। স্বাধীনতার যে মর্যাদা দিতে পারে, তার জন্য ভালো। এটা মাথায় রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এমইউএম/এসকে/একে