এ ঘটনার পর থেকে মৃত গৃহবধূর স্বামী বাবু পলাতক রয়েছেন। নিহত শারমীন একই এলাকার শাহাবুদ্দিনের মেয়ে এবং কুড়িগ্রাম গ্রিন লাইফ হসপিটালে কর্মরত ছিলেন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে হাটিরপাড় এলাকার নিজ বাড়ির কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর মা শাহিনা আক্তার জানান, বুধবার একটি এনজিও থেকে কিস্তি বাবদ ঋণ পাওয়ার কথা ছিল শারমীনের। তার আসতে দেরি হওয়ায় শারমীনকে ডাকতে যান মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে। তিনি মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখতে পান তার চার বছরের নাতি শিশির কাঁদছে। কক্ষের দরজা ও জানালা খোলা মেয়ের মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।
নাতি শিশির তার নানিকে জানায়, বাবা তার মাকে মেরেছে। তারপর থেকে তার মা আর কোনো কথা বলছে না।
শারমীনের মা শাহিনা আক্তার অভিযোগ, তার জামাই নেশাগ্রস্ত ছিল। সে নেশা করে তার মেয়েকে হত্যা করেছে। তিনি মেয়ের হত্যাকারীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বাংলানিউজকে জানান, আমরা গৃহবধূর মরদেহ ঘর থেকে উদ্ধার করেছি। তার মরদেহ কাঁথা দিয়ে মোড়ানো ছিল। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে। নিহতের স্বামী বাবুকে খোঁজ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এফইএস/এএটি