বাংলাদেশে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন সূত্র এ তথ্য জানায়।
সূত্র জানায়, এছাড়া স্থলবন্দর ব্যবহারে বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর থেকে সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লি সফর ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা দিয়েছে জানিয়ে বলা হয়, দুই দেশের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ বিলিয়িন মার্কিন ডলার। আর বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ৫২ শতাংশ যা এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।
দিল্লি সফরে দু’দেশের নেতাই সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানান। এছাড়া সন্ত্রাস, জঙ্গি সংগঠন, ছিনতাই, নকল টাকা ছাপানোসহ সব ধরনের সংঘবদ্ধ অপরাধের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে আবারও কথা বলেন দুই নেতা।
সীমান্তে প্রাণহানি নিয়ে দু’দেশই উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং হতাহতের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার কথা বলেন।
এফআইসিসি, সিআইআই, ‘ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটে’ ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে। এছাড়া বাংলাদেশি পণ্য কিনে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বজায় রাখতে বলেন তারা।
দুই দেশের মধ্যে চুক্তির ফলে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। বিশেষ করে শ্রমিক ও বিমা কোম্পানির জন্য। শুধু বাংলাদেশি শিপিং লাইনের অনুমতি আছে বলে বাংলাদেশি জাহাজ মালিকদের জন্য কাজের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশের জন্যই এটা লাভজনক।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশ মিলেই ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন আয়োজন করার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানায় সূত্র।
বাংলাদেম সময়: ২০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এফএম/এএ