বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা এলাকায় বুয়েটছাত্র ফাহাদের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
‘মরদেহ কুষ্টিয়ায় এলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেউ আসেনি বা আপনার কোনো প্রতিনিধি আসেনি’ এমন প্রশ্নের উত্তরে ভিসি বলেন, আমাদের প্রভোস্টসহ আমরা সবাই জিম্মি ছিলাম।
‘হলের মধ্যে এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা, এসময় হল প্রভোস্ট কোথায় ছিলেন’? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ভিসি বলেন, হল প্রভোস্টরা যখনই খবর পেয়েছে তখনই গেছেন। রাত তিনটার দিকে তারা খবর পেয়েছেন। সোয়া একটার দিকেও আমি ওদিকে ঘুরে এসেছি।
এর আগে নির্যাতনের ঘটনায় পদক্ষেপ নেননি কেন? এমন প্রশ্নে জবাবে ভিসি বলেন, আমরা একটা ইনকোয়ারি (তদন্ত) করেছি। এর মধ্যে ইনকোয়ারি করে একটা শাস্তিও দিয়েছি।
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবির বিষয়ে ভিসি বলেন, আমরাও এ ব্যাপারে একমত। আমরা শিক্ষা মন্ত্রীর জন্য ওয়েট করছি। আজকেই কথা হবে। এটাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছি এবং আমাদের ছাত্ররা যে দাবি দিয়েছে সে বিষয়ের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণরূপে একমতপোষণ করার কথা কালকেই বলেছি।
হল প্রশাসনের নিপিড়তার অভিযোগ রয়েছে এমন বিষয়ে ভিসি বলেন, তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন রিপ্লেসমেন্ট লাগবে।
ফাহাদের পরিবারের প্রতি সান্ত্বনার প্রসঙ্গে ভিসি বলেন, আমার সন্তান হলেও একই অবস্থা হতো। আমি সান্ত্বনা দেওয়ার জন্যই এসেছি এখানে।
এসময় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এসএইচ