বুধবার (০৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে বুয়েট উপাচার্য ফাহাদের গ্রাম কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গায় গিয়ে পৌঁছান। এসময় ফাহাদের বাবার সঙ্গে কথা বলেন ভিসি।
তাদের কথোপকথনে ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ ভিসিকে প্রশ্ন করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় আপনি কিংবা আপনার কোনো প্রতিনিধি এলো না।
ভিসি উত্তরে বলেন, আমার তো অনেকগুলো কাজ ছিল।
ফাহাদের বাবা বলেন, রাত ৮টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ছেলেকে অত্যাচার করেছিলো। তাহলে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কী করলো?
ভিসি উত্তরে বলেন, প্রভোস্টের ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এসময় ফাহাদের ভাই আবরার ফায়াজ ভিসিকে প্রশ্ন করেন, আপনারা এতদিন ধরে কই থাকলেন? এর আগে আসা উচিৎ ছিল। আপনার হলে এত বড় কাজ হয়ে গেল। আমার ভাইকে এত কষ্ট দিয়ে মারলো।
তবে ফায়াজের প্রশ্নের কোনো জবাব দেয়নি বুয়েট ভিসি সাইফুল ইসলাম।
এরপর ফাহাদের কবর জিয়ারত করতে যান ভিসিসহ অন্যান্যরা।
এদিকে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফাহাদের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি ভিসি। তিনি ফাহাদের মায়ের সঙ্গে দেখা না করে ছেলে হারা মাকে সান্ত্বনা না দিয়ে ফিরে আসেন। এলাকাবাসী হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানানোর সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন ভিসি এত দেরি করে এলেন? কেন কোনো জানাজা নামাজে তিনি অংশগ্রহণ করেননি। এমন স্লোগানে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন তিনি।
৬ অক্টোবর (রোববার) রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এরপর তাকে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবাইকে আদালতের মাধ্যমে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এসএইচ