বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার একমাস সব ভর্তি কোচিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
‘কিন্তু কর্মস্থলে না থেকে তিনি কোচিং সেন্টারে সময় দিচ্ছিলেন। এসব কারণে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে মেডিক্যাল অফিসারের পদ থেকে বরখাস্ত এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হবে। ’
জেলা প্রশাসক হেলাল হোসেন জানান, মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযোগে থ্রি ডক্টরস ভর্তি কোচিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বেলা ১১টায় নগরীর বেণী বাবু রোড়ের থ্রি ডক্টরস কোচিংয়ে অভিযান চালিয়ে ডা. তারিমকে আটক করা হয়। কোচিংয়ে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দুপুর থেকে ডা. তারিমকে আটক রাখা হবে, নাকি ছেড়ে দেওয়া হবে-তা নিয়ে নগরজুড়ে গুঞ্জন শুরু হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান খান বাংলানিউজকে জানান, ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অধিকতর তদন্তের জন্য ২৪ ঘণ্টার আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে ডা. তারিম খুলনা থানায় আটক থাকবেন।
ডা. তারিম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপের) জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিও ছিলেন তিনি। সরকারি চিকিৎসক হয়েও তিনি কোচিং ব্যবসা ও নগরীর রয়েল মোড়ের ফাতেমা ক্লিনিকটি চালাচ্ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
এমআরএম/এমএ