বুধবার (৯ অক্টোবর) এ পরিপত্র জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পরিপত্রের মাধ্যমে মোট ১৪টি অনুশাসন অনুসরণের জন্য আওতাধীন সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, চিঠির মাধ্যমে গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত প্রকল্পগুলোতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জি কে বিল্ডার্সের মাধ্যমে একক/যৌথভাবে বাস্তবায়নাধীন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে পিপিএ ২০০৬ ও পিপিআর ২০০৮’র সংশ্লিষ্ট ধারা এবং বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে জারি করা ১৪টি অনুশাসন হলো- নতুন প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে যোগ্যতাসম্পন্ন তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা অর্থাৎ পরিবেশগত, সামাজিক ও কারিগরি প্রভাব এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম আবশ্যিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংযুক্ত করে ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। স্থাপনা নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পগুলোতে কারিগরি পরীক্ষা; যেমন- মাটি পরীক্ষা, সাইট নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্যাদি ডিপিপিতে সংযুক্ত করতে হবে। বিশেষ কারণ ছাড়া চলমান প্রকল্পের ব্যয়, মেয়াদ বৃদ্ধি, আন্তঃঅঙ্গ সমন্বয় ও প্রকল্প সংশোধন করা যাবে না। জরুরি প্রয়োজন হলে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, ড্রয়িং ও ডিজাইন চূড়ান্ত করে মোট ব্যয় প্রাক্কলনের পর প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াকরণ করতে হবে। এর আগে কোনো অবস্থাতেই ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো যাবে না। প্রকল্পের আইটেমের পরিমাণ ও আইটেম অনুযায়ী প্রাক্কলিত ব্যয়ের সঠিকতা-যথার্থতা সংস্থা প্রধান এবং তার মনোনীত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে যৌথভাবে প্রত্যয়িত হতে হবে। প্রাক্কলনের সঙ্গে দর ও বাজার মূল্যের অসামঞ্জস্য থাকলে সংস্থা প্রধান মনোনীত কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
ভেরিয়েশন, পুনর্কার্যাদেশ, অতিরিক্ত কার্যাদেশসহ এ ধরনের সব কার্যক্রম নিরুৎসাহিত করতে হবে। ক্ষেত্র বিশেষে যৌক্তিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ভেরিয়েশন, পুনর্কার্যাদেশ, অতিরিক্ত কার্যাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে পিপিআর ৭৭, ৭৮, ৭৯ ধারা যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবে প্রত্যয়ন সংযুক্ত থাকা বাধ্যতামূলক। বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসারে গঠিত অধিদপ্তর/সংস্থার পণ্য সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য ক্রয় সংক্রান্ত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি নিয়মিতভাবে পুনর্গঠন করতে হবে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত কাজ/ক্রয়গুলোর চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।
এছাড়া, প্রতিটি প্রকল্পের পরিচালকেরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় সার্বক্ষণিকভাবে অবস্থান করবেন এবং সংস্থা প্রধানরা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। সংস্থা প্রধানসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তারা নিয়মিত প্রকল্প এলাকা আনুষ্ঠানিক/অনানুষ্ঠানিক/ আকস্মিক পরিদর্শন করবেন এবং চিহ্নিত সুনির্দিষ্ট অনিয়মসহ মন্ত্রণালয়/সংস্থায় প্রতিবেদন পাঠাবেন। ক্রেতার মাধ্যমে যোগ্যতাসম্পন্ন সরবরাহকারী বা ঠিকাদারের তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে। প্রকল্প সাইটে অর্ডার বুকসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের সব নথি/ডকুমেন্ট যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রকল্প সাইটের দৃশ্যমান জায়গায় সব তথ্য সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করতে হবে এবং প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন/নির্মিত/নির্মিতব্য স্থাপনা/অবকাঠামোগুলোর উপকরণের গুণগত মান উপযুক্ত ল্যাবরেটরি থেকে নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
জিসিজি/একে