বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের আশাবাড়ি এলাকার ভারত সীমান্ত পিলারের কাছ থেকে তাদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিকেল ৪টায় ওই সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) পতাকা বৈঠকের পর ৫টায় তাদের ফেরত দেওয়া হয়।
বিএসএফ যাদের ধরে নিয়ে গেছেন তারা হলেন, র্যাব-১১ এর কনস্টেবল আবদুল মজিদ, রিগান বড়ুয়া, সৈনিক ওয়াহিদ মিয়া এবং র্যাবের দুই নারী সোর্স কুমিল্লা মহানগরীর শুভপুরের বাসিন্দা খুকি লিজা ও সুজানগরের মনি আক্তার।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা র্যাব-১১ সিপিসি-২-এর একটি দল মাদক উদ্ধারের উদ্দেশ্যে ভারত সীমান্তবর্তী আশাবাড়ি এলাকার ২০৫৯ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের কাছে আবুল খায়ের মিয়ার বাড়িতে যায় ও তাকে আটকের চেষ্টা চালায়। সে সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে র্যাব সদস্যদের ওপর পাল্টা হামলা চালিয়ে তাদের বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।
পরে খবর পেয়ে বিজিবির সংকুচাইল ক্যাম্পের সুবেদার নুরুল ইসলাম র্যাবের তিন সদস্যসহ পাঁচজনকে ফেরত পেতে বিএসএফের কাছে চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিকেল ৪টার দিকে নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় বিএসএফ-বিজিবি পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ৫টার দিকে ধরে নিয়ে যাওয়া ৫ জনকে ফেরত দেয় বিএসএফ।
কুমিল্লা র্যাব-১১ সিপিসি-২-এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মুহিতুল ইসলাম জানান, পতাকা বৈঠকের পর তিন র্যাব সদস্যসহ পাঁচজন ও তাদের সঙ্গে থাকা অস্ত্র, গুলি, মোবাইল ও অন্যান্য জিনিস ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সংকুচাইল বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলাম। অন্যদিকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের ৭৪ বিএসএফ পরিদর্শক আর কে মিঠু।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
এইচজে