বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে রাজধানীর খামারবাড়ি মিল্কি অডিটোরিয়ামে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০১৯’র উদ্বোধন ও ২০১৮ সালের ইঁদুর নিধনের জন্য পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ইঁদুর নিধনে আমাদের তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর সারাদেশে কী পরিমাণ ইঁদুর নিধন হয় এগুলোর সঠিক উপস্থাপন প্রয়োজন। আগামী বছর তথ্য উপাত্তের যেন কোনো ঘাটতি না থাকে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
আব্দুল মান্নান এমপি বলেন, কৃষির সবক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। এখন যে উৎপাদন তাতে দেশের চাহিদা মিটছে। তবে বর্তমানে যে জনসংখ্যা আছে, ২০৩০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। তাই প্রযুক্তি উদ্ভাবনী মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।
জনগণের চাহিদা মিটাতে কৃষি উদ্ভাবনের বিকল্প নেই বলেও তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে কৃষিসচিব নাসিরুজ্জামান বলেন, সভা সেমিনার করে ইঁদুর নিধন হবে না। ইঁদুর ধ্বংসে শিকারি দল তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি জেলা-উপজেলায় পাখিদের অভয়ারণ্য তৈরি করতে হবে। যেখানে একইসঙ্গে পেঁচা, গুঁইসাপ, বেজি আশ্রয় নিতে পারবে। এসব পাখি ও প্রাণী ইঁদুর নিধনে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং পরিচালক চন্ডীদাস কুন্ডুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের এপিএ পুলের সদস্য কৃষিবিদ মোহাম্মদ হামিদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে গতবছরের অভিযানের কার্যাবলীর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চসংখ্যক ইঁদুর নিধনকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
এসএমএকে/এবি/এসএইচ