ঢাকা, সোমবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

বালু ব্যবসা নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলা-গুলিতে আহত ২

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
বালু ব্যবসা নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলা-গুলিতে আহত ২

রাজশাহী: বালু ব্যবসার দেনা-পাওনা নিয়ে বিরোধের জের ধরে রাজশাহীতে সন্ত্রাসী হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে মহানগরীর কাজলার ফুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের এ হামলার ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আরও একজন আহত হয়েছেন।

আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

এদের মধ্যে মহানগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড (পশ্চিম) স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্ববায়ক জুবায়ের হাসান জনির (২৬) ডান পায়ে গুলি লেগেছে। তিনি কাজলা ফুলতলা এলাকার আসলামের ছেলে।

অপরজন একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সুজন ইসলাম (২৮)। তিনি একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সদস্য। তাকে ধারালো চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়েছে। তার বাম হাতের কনুই থেকে কজ্বি পর্যন্ত চাপাতির আঘাত রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বালুর ব্যবসার অর্থ দেনা-পাওনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। ২০১০ সালে বালুর ব্যবসা করার জন্য ফুলতলা ২৮ নম্বর ওয়ার্ড মতিহার থানা (পশ্চিম) আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি আব্দুস সাত্তার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে পুঁজি সংগ্রহ করেন। সেই টাকা দিয়ে একটি ড্রেজার মেশিন কেনা হয়। কিন্তু পরে ব্যবসাটি বন্ধ হয়ে যায়।

এখন বালুর ব্যবসা করতে যারা টাকা দিয়েছিলেন তারা একাধিক বার সেই টাকা ফেরত দিতে আব্দুস সাত্তারকে চাপ দেন। কিন্তু তিনি টাকা ফেরত দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এ অবস্থায় কিছুদিন আগে অংশীদাররা টাকা উশুলের জন্য সেই ড্রেজার মেশিনটি ফের চালুর উদ্যোগ নেন। কিন্তু আব্দুস সাত্তার তাতে বাধা দেন। পরে বিষয়টি আপসের জন্য সালিশ ডাকা হয়। তবে সেখানেও মিমাংসার জন্য বসেননি তিনি।

হামলায় আহত জুবায়ের হাসান জনি বলেন, ড্রেজার চালু করা নিয়ে বেশ ক'দিন থেকেই বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে স্থানীয়দের বিবাদ চলছিল। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা ড্রেজার মেশিন চেক করতে গেছেন শুনে আব্দুস সাত্তার তার ছেলে টনি ও ডনিকে পিস্তল দিয়ে ঘটনাস্থলে পাঠায়। টনি ও ডনি আরও অন্তত ১০/২৫ জন যুবককে সঙ্গে তাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।

জনি আরও বলেন, এর একটি গুলি এসে তার ডান পায়ের নিচে বিদ্ধ হয়। তাদের ধারালো চাপাতির কোপে সুজনের বাম হাতের কনুই থেকে কজ্বি পর্যন্ত ঝুলে যায়।

চাইলে রাজশাহীর মহানগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরে জুমার নামাজের আগে কাজলার ফুলতলা এলাকায় ড্রেজার মেশিন নিয়ে মরামারির ঘটনা জানান স্থানীয়রা। পরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। তারা ফিরলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় এজাহার দেয়নি। দিলে তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে।

সেখানে হামলার সময় গুলির ঘটনা ঘটেছে কি-না প্রশ্নে ওসি হাফিজু রহমান বলেন, সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে চিকিৎসকরা বিষয়টি তাদের এখনও নিশ্চিত করেনি বলে উল্লেখ করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।