শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘ব্যাংকিং খাত নিয়ে উল্টোপাল্টা পদক্ষেপ বন্ধ করুন: ব্যাংকিং সংস্কার কমিশন গঠন করুন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ সব কথা বলেন ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ ইব্রাহিম খালেদ।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সংবিধান থেকে সমাজতন্ত্র তুলে দিয়ে সম্রাট বানিয়েছিলেন।
অথচ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বৈষম্যহীন সমাজ যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না, সব অঞ্চলে উন্নয়ন হবে। এখন এটার বিপরিত হচ্ছে, কেউ কেউ টাকার পাহাড় গড়ে তুলছেন অন্যরা একে বারেই নিঃস্ব।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর দেশের গণতন্ত্র কোথাই গেছে আপনারা সবাই জানেন। বুয়েটে মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হলো। ভিসি ক্যাম্পাসে এলেন অনেক পরে। তার কারণ আছে, যে স্ট্যাম্প দিয়ে ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছে সে স্ট্যাম্পের ভয়তো ভিসিরও আছে। ক্যাম্পাসের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তার হাতে নেই।
বিশিষ্ট ব্যাংকার সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার বলেন, আমরা কোনো ব্যাংক পরিচালনা করতে গেলে সেখানে বোর্ড সভার সদস্য বানানো হয় ছাত্রলীগ নেতাদের। আমি অগ্রণী ব্যাংকের এমডি থাকাকালে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে বোর্ড সভার সদস্য করা হলো। তারা প্রথম দিন এসেই বললেন আমরা অনেক নির্যাতনে শিকার হয়েছি। আমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখবেন। আমি যদি ব্যাংক খাত নিয়ে বলি তবে এক কথায় বলতে পারি ‘অস্থিরতার মধ্যে চলছে এ খাতটি। যেখানে রাজনীতিবিদরা পরিচালনা করলে এমনটাই হবে।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আমাদের মূলনীতির মধ্যে গণতন্ত্রের কথা বলা আছে, সমাজতন্ত্রের কথা বাদ দিয়ে ঋণ খেলাপিতন্ত্রের প্রথা চালু করা হয়েছে। আমার টাকা ব্যাংকে রাখবো আর তারা টাকা চুরি করে নেবে এটা হতে পারে না। দেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন, রাজনীতি, সমাজ ব্যবস্থা একটা উল্টা-পাল্টার মধ্য দিয়ে চলেছে।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের পরিচালনায় আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন, অধ্যাপক আবু সাঈদ, রাশেদ আল প্রিতম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
ইএআর/আরআইএস/