শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিরব ইসলামপুরের একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার থিরপাড়া গ্রামের মতি মিয়ার ছেলে তিনি। কেরানীগঞ্জ বাশপট্টি থানার ঘাট এলাকায় থাকতেন।
নিরবের বন্ধু সিয়াম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কেরানীগঞ্জে থাকতাম। নিরবের বাবা মতি মিয়া থানার ঘাটে নৌকা চালান। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নিরব কামরাঙ্গিরচড় এলাকায় আরেক বন্ধুর বাসায় যায়। সেখান থেকে কদমতলির মিরাজনগর এলাকায় আসে। সেখানে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
সিয়াম বলেন, শনিবার তার প্রমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসে নিরব। কিন্তু তার প্রেমিকা দেখা করে না। মেয়ের পরিবার নিরবকে বকাঝকা করে। সেই অভিমানে নিরব তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে নিজের পেটে আঘাত করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে মারা যায়।
কদমতলি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বাংলানিউজকে বলেন, ছয় মাস ধরে ফেসবুকের মাধ্যমে এক কিশোরীর সঙ্গে নিরবের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেন ছেলের পরিচিতরা। শনিবার মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে যান নিরব। দেখা না করা এবং মেয়েটির পরিবার থেকে বকাঝকা করায় তিনি নিজের পেটে ছুরি মেরে আত্মহত্যা করেন।
তিনি বলেন, নিরবের সঙ্গে থাকা বন্ধু সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অন্য কোনো ঘটনা আছে কি-না, তা জানার চেষ্টা চলছে। তবে এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হবে।
নিরবের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
এজেডএস/টিএ