শনিবার (১২ অক্টোবর) ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের (ইডব্লিউএমজিএল) কনফারেন্স রুমে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় ভারতের ইয়োগা হেলথ ওয়েলফেয়ার ও স্পোর্টস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. তুষার শীল, ভারতীয় ইয়োগা গুরু ডা. সত্যজিত বিশ্বাস, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও স্যাটেলাইট টেলিভিশন নিউজটোয়েন্টিফোরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য ডা. শান্তনু সেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় বাজেটে চিকিৎসাখাতে বরাদ্দ খুব কম। ভারতের জাতীয় বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) খাতে বরাদ্দ শতকরা ১ দশমিক ১ শতাংশ।
‘বাংলাদেশের জিডিপিতে বরাদ্দ মাত্র শতকরা ২ দশমিক ৫ শতাংশ। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপিতে বরাদ্দ প্রায় শতকরা ১৮ শতাংশ। তাই এ খাতে বরাদ্দ না বাড়ালে স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন সম্ভব নয়। ’
এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. শান্তনু বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক রোগী ভারতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য যান। ভারতে ডায়ালেসিস, নিউরোলজি, কার্ডিওলজি, প্লাস্টিক সার্জারি, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা ব্যয় কম। সে কারণে বাংলাদেশ সরকারকেই এ বিষয়গুলো অ্যাড্রেস করতে হবে। এসব বিষয় অ্যাড্রেস করতে না পারলে রোগী ভারতে যাবে-ই।
‘মানুষের ফ্রি হেলথ অধিকার রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সরকারি হাসপাতালে ফ্রি হেলথ নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাটা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। পশ্চিমবঙ্গে সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সভাপতি ডা. শান্তনু বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নয়নে বাংলাদেশ-ভারত এক যোগে কাজ করতে পারে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে গঠনমূলক উদ্যোগ নিতে পারে। কেননা চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিতে উভয় দেশেরই অনেক কিছু করার রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
টিআর/এমএ