রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে শিশুটিকে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আছমা বেগমের আদালতে নেওয়া হয়। পরে বিচারক ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
হবিগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক মো. আল-আমিন এ তথ্য বাংলানিউজকে জানান।
এর আগে, শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা-সিলেট মাহসড়কের শাস্তোগঞ্জের ওলিপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিনই মাধবপুরের ইটাখোলা এলাকা থেকে মনিরকে গ্রেফতার করা হয়। মনির নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের নাজির মিয়ার ছেলে।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কর্চা গ্রামের অশ্বিনী বৈষ্ণব তার আট বছর বয়সী মেয়েসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে হবিগঞ্জ-ঢাকা রোডে চলাচলরত এনা পরিবহনের একটি বাসে ঢাকা যাচ্ছিলেন। পথে শায়েস্তাগঞ্জের ওলিপুর ক্রস করার পর সুপারভাইজার কৌশলে ওই শিশু ছাত্রীকে গাড়ির পেছনের আসনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় মেয়েটি চিৎকার দিলে তার বাবা ও বাসের অন্য যাত্রীরা এগিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন এবং সুপারভাইজারকে পিটুনি দেন।
অন্যদিকে, তারা পুলিশকে খবর দিলে বাসটি মাধবপুরের ইটাখোলা এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ সুপারভাইজার মনিরকে আটক করে ও বাসটি জব্দ করে। পরে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মনিরকে আসামি করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
** চলন্ত বাসে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা, বাসের সুপারভাইজার আটক
বাংলাদেশ সময: ১৮৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
এসআরএস