রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশনের প্রবারণা পূর্ণিমা ও ফানুস উৎসব অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানকে দুবাইয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের অভিযান যারা অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, আইন অমান্য করছেন তাদের বিরুদ্ধে। আমরা কাউকে উদ্দেশ্য করে অভিযান করছি না। আমাদের উদ্দেশ্য যারা আইনশৃংখলা ভঙ্গ করেন, অবৈধ কাজ করেন, অস্বস্তি তৈরি করেন তাদের বিরুদ্ধে। কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযান নয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ২০১৩ -১৪ সালে একের পর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে দেশ বিরোধী চক্র। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এ দেশকে অকার্যকর করার। এবছর দেশে ৩২ হাজার পূজা মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। যা আগের বছরের চেয়ে ১ হাজার বেশি। আপনারা যাতে সব সময় নিরাপদে থাকেন আমরা সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি।
বিশেষ অতিথি আম্বর শাহ মসজিদের খতিব মাওলানা মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ দেশে আমরা সবাই এক সঙ্গে কাজ করি। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক সঙ্গে থাকবো, চলবো, তাহলেই সম্প্রতি বজায় থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশনের চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বড়ুয়া, প্রবারণা পূর্নিমা উদযাপন কমিটির সভাপতি রঞ্জন বড়ুয়া, ফেডারেশনের নির্বাহী সভাপতি অশোক বড়ুয়া, মেট্রোপলিটন পুলিশের
গুলশান জোনের ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম, ট্রাফিক পুলিশের উত্তরের ডিসি প্রবীর কুমার রায় প্রমুখ।
এর আগে শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা জানান, বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি শাখার উদ্যোগে ও এনসিবি (ইন্টারপোল) দুবাইয়ের সহযোগিতায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনসিবি দুবাই বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত দেশের শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর একজন জিসান। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। রাজধানীর গুলশান, বনানী, বাড্ডা, মতিঝিলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির একাধিক মামলা ছিল তার নামে।
ইন্টারপোল তার নামে রেড অ্যালার্ট জারি করে রেখেছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে জিসান সম্পর্কে হত্যাকাণ্ড এবং বিস্ফোরক বহনের অভিযোগ আছে।
২০০৩ সালের ১৪ মে ঢাকার মালিবাগে জিসানকে গ্রেপ্তার অভিযানে তারই সহকর্মীদের বার্স্টফায়ারে নিহত হন ডিবি পুলিশের দুই কর্মকর্তা। ওই হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অপারেশন ক্লিনহার্ট চলাকালে ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নান নিহত হলে জিসান ভারতে পালিয়ে যান। সেখান থেকে পরে তিনি দুবাইয়ে পাড়ি জমান।
সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে দুই যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটকের পর জিসানের নাম আবার নতুন করে আলোচনায় আসে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
এসই/এইচএডি