ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মায় তৎপর অসাধু জেলেরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
পদ্মায় তৎপর অসাধু জেলেরা

মাদারীপুর: সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ইলিশ শিকারের। ইলিশের অভয়ারণ্য মাদারীপুর জেলার শিবচরের পদ্মা নদী। এ এলাকার পদ্মা বেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চলের কতিপয় অসাধু জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই গোপনে ইলিশ শিকার করছে। আর এ ইলিশ মাছ কিনতে বিভিন্ন স্থান থেকে পদ্মার চরাঞ্চলে যাচ্ছেন অসংখ্য ক্রেতারা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর এবং খুব ভোরে এসব মাছ বিক্রি করা হয়ে থাকে।

এদিকে নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ মাছ শিকার বন্ধে তৎপর উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল নোমান অভিযান চালিয়ে জেলেসহ ৬ ক্রেতাকে আটক করে।

এসময় বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছও জব্দ করা হয়।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছরই ইলিশ শিকার নিষিদ্ধের মৌসুমেও এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা পদ্মার বিভিন্ন স্থানে ইলিশ ধরে। চলতি মৌসুমেও পদ্মায় অসাধু জেলেদের তৎপরতার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ী, বন্দোরখোলা, মাদবরেরচর ইউনিয়নের দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চলের জেলেরা পদ্মায় জাল ফেলে ইলিশ মাছ ধরছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্গম হওয়ায় প্রশাসনের চোখ সহজেই ফাঁকি দিতে পারছে এসব জেলে। বন্দোরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসুরা, কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের পদ্মার চরাঞ্চলে সন্ধ্যার পর ও ভোরে বিক্রি করা হচ্ছে এসব ইলিশ।  

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দোরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসূরা এলাকার পদ্মার পাড়ে ইলিশ কিনতে বিভিন্ন স্থান থেকে সন্ধ্যা ও ভোরে এসে হাজির হচ্ছেন ক্রেতারা। মূলত সস্তায় মাছ কিনতেই সাধারণ ক্রেতারা এসে হাজির হচ্ছেন। তবে গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার মাছের পরিমাণ কম বলে জানা গেছে। ক্রেতাদের মাছের আশায় অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে বলে স্থানীয় সূত্রটি জানায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে জানান, এসময় পদ্মার গভীরে কয়েকটি স্থানে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। সবই মা ইলিশ। আমরা এ মৌসুমের পুরোটা সময়ই মাছ ধরা বন্ধ রাখি। তবে অনেকেই গোপনে মাছ ধরে। ঝুঁকি নিয়ে গভীর পদ্মায় যায়।

তিনি আরো জানান, ক্রেতাদের উপস্থিতিই মাছ ধরতে উৎসাহ যোগায় কিছু জেলেদের। অনেক ক্রেতারা ফোনে আগে থেকেই জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাছের জন্য।

জানা গেছে, এসময় পদ্মার চরাঞ্চল থেকে ৭/৮শ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ সস্তায় কেনা যায়। মূলত সস্তায় বড় আকারের মাছ ক্রেয়ের জন্য বিভিন্ন এলাকার সাধারণ ক্রেতারা বন্দোরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসূরাসহ আশেপাশের এলাকায় ভিড় জমায়।

শিবচর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রশাসন অভিযান চালায় উপজেলার কাজির সূরা এলাকার পদ্মার পাড়ে।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। পদ্মার পার থেকে মাছ ধরা ও কেনার অপরাধে ৬ জনকে আজ আটক করেছি। মাছও উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিদিনই আমাদের অভিযান চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।