সোমবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে তার নিজ বাড়ির পাশে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তুহিন ওই গ্রামের আব্দুল বাছির মিয়ার ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৩ অক্টোবর) দিনগত রাতে ঘুম ভাঙলে দেখা যায় ঘরের দরজা খোলা এবং বিছানায় তুহিন নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সোমবার ভোরে বাড়ির পাশের একটি গাছে কান, লিঙ্গ ও গলাকাটা অবস্থায় তুহিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাতে কৌশলে শিশুটিকে তুলে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। হত্যায় ব্যবহৃত দু’টি ছুরি তার পেটের মধ্যে গেঁথে রেখেও যায় পাষণ্ড হত্যাকারীরা।
খবর পেয়ে তদন্তের জন্য এরই মধ্যে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) কাজ করছে। অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগও (সিআইডি) ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির বাংলানিউজকে বলেন, রাতে কিভাবে আমার পাশ থেকে ছেলেকে নিয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি একজন সাধারণ কৃষক। আমার তেমন কারও সঙ্গে শত্রুতাও নেই। তবুও কে বা কারা আমার তুহিনকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করলো তা বুঝে উঠতে পারছি না।
দিরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুপক কর্মকার বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সিআইডিও আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু বলা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এসআরএস