ধর্মঘটের কারণে বিভাগীয় নগরী খুলনায় যাত্রীরা পড়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগে। বাড়তি ভাড়া দিয়ে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে বেবি, টেম্পো, মাহেন্দ্র ও ইজিবাইকে।
শান্তিধামের মোড়ে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে আসা আব্দুস সালাম নামে এক যাত্রী বলেন, হঠাৎ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ হয়ে যাওয়া ইজিবাইকে বেশি ভাড়া দিয়ে আসতে হয়েছে। আর পায়ে চালিত রিকশা তো পাওয়াই যাচ্ছে না।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রিকশাচালকরা নগরীর সাত রাস্তার মোড় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ সময় তারা সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের বাড়ির সামনে বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করেন। এরপর জাতিসংঘ পার্ক হয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে গিয়ে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
ব্যাটারিতচালিত অটোরিকশা শ্রমিক মালিক ঐক্য পরিষদের খুলনা মহানগর সহ-সভাপতি সেলিম শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, রিকশা বন্ধে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের বেধে দেওয়া সময় শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর)।
কেসিসির উদ্যোগে মহানগরীতে রিকশা ৩৮৭টি চার্জিং পয়েন্ট থেকে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে এমন খবর শুনে রোববার (১৩ অক্টোরব) রাতে দৌলতপুর মোল্লার মোড়ে রিকশা-ভ্যানচালক ইউনিয়ন অফিসে সভা করে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেই।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা কেসিসির মেয়র, ডিসি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাছে আমাদের দাবি বিষয় নিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এমআরএম/এএটি