ধারাবাহিকতায় গত ৯ অক্টোবর থেকে বরিশাল বিভাগের সর্বত্রই চলছে মৎস বিভাগের নেতৃত্বে অভিযান। এ অভিযানে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী সহায়তা করছে।
মৎস অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর থেকে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় মোট ধারাবাহিকভাবে ৫১৩টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। পাশাপাশি ২৪০টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এবং মোট অভিযানের অনুকূলে ১৮৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে আটকদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত ২ লাখ টাকার ওপরে জরিমানা ও ১৫৪ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১৩ লাখ মিটারের বেশি জাল ও প্রায় ৬ মেট্রিক টন ইলিশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কার্যালয়ের কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, এখন পর্যন্ত বরিশালে যারা আটক হয়েছেন, তাদের অধিকাংশই মৌসুমি জেলে। নিয়মিত জেলেরা নেই বললেই চলে।
মৎস্য অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আজিজুল হক বলেন, ইলিশের ওপর নির্ভরশীল জেলেদের ২০ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তারপরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ মাছ শিকার করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও দু’বছর কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
বরিশাল জেলায় ৪৩ হাজার ৬৪৪ জন জেলেকে এবং বিভাগে ২ লাখ ২৭ হাজার ৯৪৩ জন জেলেকে নিষেধাজ্ঞার সময়ে ২০ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এমএস/এএটি