সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অবস্থান: নতুন নীতি কাঠামোর প্রস্তাবনা’ শীর্ষক বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মাদ নুরুল কবির।
অনুষ্ঠানে দিনাজপুর ও জয়পুরহাটের পাঁচটি উপজেলায় ৯টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নিয়ে গবেষণার আলোকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বর্তমান প্রেক্ষাপট ও সমতলের নৃগোষ্ঠীর জন্য করণীয় বিষয়ে সুপারিশ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়রের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ শাহান।
গাজী মোহাম্মাদ নুরুল কবির বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচির বরাদ্দ প্রতিবছরই বাড়ছে। ভাতার পাশাপাশি গ্রাজুয়েশন স্কিম চালু হয়েছে। সব প্রতিবন্ধী মানুষকেই এর আওতায় আনা হয়েছে। এসএসএনপির পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। সহায়তা কার্যক্রম ক্রমশ ডিজিটালাইজড হচ্ছে। ফলে দুর্নীতির আশংকা হ্রাস পাচ্ছে। অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা কার্যকর আছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সব মানুষের অন্তর্ভুক্তি আমাদের সার্বিক উদ্দেশ্য। খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আসলে সরকার বিবেচনা করবে।
এম এম আকাশ বলেন, গবেষণাটি নমুনা ভিত্তিক, তাই এটা দিয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির সাধারণীকরণ করা সম্ভব নয়। এনজিওদের কাজের ফলে এ দু’টি এলাকায় এসএসএনপিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি ইতিবাচক হলেও সারা দেশের আর যা তথ্য পাওয়া যায় তা সন্তোষজনক নয়। আদিবাসীদের মধ্যে দারিদ্র্যের হার যেহেতু ৬০ শতাংশ, যা জাতীয় হারের চেয়ে অনেক বেশি, ফলে তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি ও উন্নয়ন বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। এসএসএনপির মোট বাজেটে ০.৫ শতাংশ উপকারভোগীর জন্য যাচ্ছে ২৪ শতাংশ অর্থ, যেটাকে যৌক্তিকভাবে বিন্যস্ত করা জরুরি।
সম্মেলনে এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এসএসএনপির উপকারভোগী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি তাদের মতামত তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
ডিএন/এইচএডি