সোমবার (১৪ অক্টোবর) আর্টিকেল নাইনটিনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক প্রকাশ করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, দিল মনোয়ারা মনুর চার দশকের বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবন বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকদের চলার পথের পাথেয় হিসেবে কাজ করবে।
স্কুল জীবন থেকেই দিল মনোয়ারা মনুর লেখালেখি শুরু। দৈনিক বাংলার বাণী প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে সেখানে নিয়মিত ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। লেখালেখির এ সূত্র ধরে ১৯৭৪ সালে ‘বেগম’ পত্রিকার সহ-সম্পাদক হিসেবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নারী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ নূরজাহান বেগম ও কবি সুফিয়া কামালের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন তিনি। ১৯৮৮ সালে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে তিনি যোগ দেন ‘পাক্ষিক অনন্যা’য়। ২৫ বছর সেখানে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ প্রিন্ট মিডিয়ায় তিনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে লেখালেখি করেছেন।
দিল মনোয়ারা মনু নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স, কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলাসহ বেশকিছু সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নারী আন্দোলনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ-আন্দোলনে তার সরব উপস্থিতি ছিল। শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও তিনি নারী ও মানবাধিকার ইস্যুর আন্দোলনে শামিল হতেন।
সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় দিল মনোয়ারা মনু বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, ফেডারেশন অব ইউমেন, ইনার হুইল ক্লাব, পাক্ষিক অনন্যা, নন্দীনি সাহিত্য সংসদ, কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা প্রভৃতি সংগঠন থেকে বিভিন্ন সময়ে পুরস্কৃত হয়েছেন।
নারী সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আর্টিকেল নাইনটিনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। আর্টিকেল নাইনটিন মনে করে, বাংলাদেশে নারী সাংবাদিকতার প্রসার ও পেশাদারিত্বের ভীত শক্ত করতে দিল মনোয়ারা মনুর অবদান অনুসরণ করবে আগামীর সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
টিআর/আরবি/