গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন এক কিশোরীর বাবা।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- ইমন মোল্লা, নূর ইসলাম ওরফে মনা, রমজান ওরফে কালু, হাবিবুর রহমান ওরফে শাকিল, মাহাবুবুর রহমান সাগর ও রাতুল হাসান রাব্বি ওরফে টিনা। তবে মূল ২ আসামি লিমন ও বাপ্পী পলাতক রয়েছেন।
এদিকে সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে ইমন মোল্লা আদালতে ১৬৪ ধারায় এ ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মানস রঞ্জন দাস বাংলানিউজকে জানান, গত ১০ অক্টোবর নগরীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায় ঘটনার শিকার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী। বিকেলে ওই আরেক আত্মীয় সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বের হয় সে। এরই এক পর্যায়ে দিঘলিয়া পৌঁছালে পূর্বপরিচিত যুবক ইমন মোল্লা তাদের ডেকে একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে লিমন ও বাপ্পী নামের দুই যুবক ওই দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ইমনসহ অন্য আসামিরা এ সময় লিমন ও বাপ্পীকে সহযোগিতা করে।
ওসি বলেন, লিমন ও বাপ্পীর সঙ্গে ওই দুই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইমন মোল্লার সঙ্গে আগে থেকেই দুই কিশোরীর পরিচয় ছিল। এই সুযোগ কাজে লাগিয়েই তাদের বাগানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ইমনই ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী ও সহযোগী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪ , ২০১৯
এমআরএম/এইচজে