সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুদকের উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ এ মামলা করেন।
বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
দুদক সূত্র জানায়, ইডকল সরকারের একটি নন-ব্যাংকিং আর্থিক ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন বিদেশি দাতা বা সাহায্যকারী সংস্থার কাছ থেকে ঋণ গ্রহণের পাশাপাশি গৃহীত ঋণ থেকে পরবর্তীতে স্বল্প সুদে ও স্বল্প জামানতে বাংলাদেশ এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর তালিকাভুক্ত এনজিও-কে ঋণ দিয়ে থাকে।
এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০০৬ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎহীন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সোলার প্যানেল স্থাপন করে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য হিলফুল ফুযুল সমাজকল্যাণ সংস্থা ইডকলের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করে।
চুক্তির আলোকে, হিলফুল ফুযুল সমাজকল্যাণ সংস্থাকে ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৫৬টি সোলার হোম সিস্টেমের বিপরীতে মোট ১৩৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা মেয়াদি ঋণ এবং ১৬ কোটি ৪ লাখ টাকা অনুদান দেয় ইডকল।
শর্তানুযায়ী, ত্রৈমাসিক কিস্তিরভিত্তিতে হিলফুল ফুযুল সমাজকল্যাণ সংস্থা ঋণ পরিশোধ করার কথা। কিন্তু সংস্থাটি সর্বশেষ ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ করেছে। এরপর থেকে ঋণ পরিশোধ বন্ধ রেখেছে।
হিলফুল ফুযুল সমাজকল্যাণ সংস্থা ইডকলের ঋণের ১৩৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার মধ্যে মাত্র ২৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে। অবশিষ্ট আসল ১০৭ দশমিক ৮২ টাকা এবং সুদাসল ও বিলম্ব মাসুলসহ সর্বমোট ১৪৯ দশমিক ১৭ কোটি টাকা হয়েছে।
কিন্তু বিপুল পরিমাণ এই অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সংস্থাটির চেয়ারম্যানসহ জড়িতরা তা স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করেছেন। যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও (৩) ধারা অপরাধযোগ্য। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এসএমএকে/এমএ