সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার চর সেকান্তর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আটক হোসেন উপজেলার সুজন গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার চর সেকান্তর এলাকায় অবস্থিত একটি মোবাইল ফোন টাওয়ারের কাঁটাতার বেষ্টিত সীমানার ভেতরের পরিত্যক্ত টয়লেটের ভেতরে অর্ধগলিত নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। এসময় নিহতের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পারুল বেগমকে শনাক্ত করেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত ২০ দিন থেকে শ্বশুর বাড়ি থাকা অবস্থায় পারুল নিখোঁজ হন। এ বিষয়ে পারুলের বাবার পরিবার থেকে জানতে চাইলে তার স্বামী ও শ্বাশুড়ি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জানায় পারুল কারও সঙ্গে পালিয়ে গেছে।
স্বজনরা আরও জানায়, বিভিন্ন সময়ে তার স্বামী ও শাশুড়ি নানা অজুহাতে পারুলকে মারধর করতেন। তাদের ধারণা পারুলকে হত্যা করে মরদেহ গুম করা হয়েছিলো।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, নিহত গৃহবধূর স্বামীকে আটক করা হয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এসআর/ওএইচ/