বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপন কর্মসূচি উপলক্ষে জন-যুব জমায়েত, আলোচনা ও র্যালির আয়োজন করে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, অধিকারের পাশাপাশি আমাদের দায়িত্বও পালন করতে হবে। প্রতিদিন শুধুমাত্র ঢাকাতেই পাঁচ হাজার টন খাদ্য অপচয় হয়, যা আবর্জনার সঙ্গে পাওয়া যায়। তাই খাদ্য অপচয়ের দিক থেকে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে।
‘খাদ্য অধিকার আইন চাই’ শীর্ষক এ আয়োজনে প্রধান অতিথি বলেন, সংসদে আইন দুইভাবে উপস্থাপন করা হয়। একটি সংসদের মাধ্যমে, আরেকটি সংসদ সদস্য বেসরকারি বিল হিসেবে তা উপস্থাপন করতে পারেন। তবে এই আইনটি যেন দ্রুত করা হয়, তার জন্য একটি খসড়া দিলে আমি নিজে তা সংসদে উপস্থাপন করবো। প্রধানমন্ত্রী এবং খাদ্যমন্ত্রীরও এ বিষয়ে আন্তরিকতা রয়েছে। কেননা আমরা চাই সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করতে। তিন কোটি মানুষকে পিছিয়ে রেখে ১৬ কোটি মানুষের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পল্লী-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. খলীকুজ্জামান আহমদ। এসময় অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ আকাশ, বিআইডিএস’র সিনিয়র রিচার্স ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমানূর রহমান আমান প্রমুখ।
অতিথিরা বলেন, সব উদ্যোগের লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষ, আমাদের প্রস্তাবিত আইনের লক্ষ্যও তাই। খাদ্য অধিকার আইন একটি ন্যায্য দাবি। খাদ্য অধিকারের মতো একটি মানবিক আইন দেশকে একটি অনন্য মর্যাদায় উত্তীর্ণ করবে।
আলোচনা ও জমায়েত শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি মৎস্য ভবন, দোয়েল চত্বর পেরিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এইচএমএস/জেডএস