ঢাকা, রবিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বড়পুকুরিয়া সাবেক এক এমডিসহ ৩ কর্মকর্তা জেল হাজতে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
বড়পুকুরিয়া সাবেক এক এমডিসহ ৩ কর্মকর্তা জেল হাজতে

দিনাজপুর: দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকার কয়লা চুরির ঘটনায় সাবেক এক এমডিসহ ৩ কর্মকর্তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অপর আসামি সাবেক ৬ এমডিসহ ২০ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভূঞা এ আদেশ দেন।

জেল হাজতে পাঠানো সাবেক এক এমডিসহ ৩ কর্মকর্তা হলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের মামলা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম আমিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আদালতে দুদকের পক্ষে দাখিল করা অভিযোগপত্র (চার্জশিট) ১৫ অক্টোবর বিচারক আমলে নিয়ে সাবেক ৭ এমডিসহ ২৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।

বুধবার দুপুরে ওই ২৩ আসামি আদালতে এতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক এক সাবেক এমডিসহ ৩ কর্মকর্তার জামিন নামঞ্জুর এবং অপর ৬ সাবেক এমডিসহ ২০ জনের জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে,  ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা। এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিসুর রহমান বাদী হয়ে গত বছর ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি দুদকের তফশিলভুক্ত হওয়ায় দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।

মামলায় আসামি করা হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্পের সাবেক ৭ জন এমডিসহ ২৩ জন আসামি। এরা হলেন সাবেক এমডি মাহবুবুর রহমান, আব্দুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশিদ আলম, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ। এছাড়া সাবেক মহাব্যবস্থাপক শরিফুল আলম, আবুল কাশেম প্রধানিয়া, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদা, আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান, মোর্শেদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান, জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সতেন্ত্র নাথ বর্মন, মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক সোহেবুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপ-মহাব্যবস্থাপক জোবায়ের আলী আসামী রয়েছেন।

মামলার এজাহারে ১৪ জন আসামি ছিল। তদন্তে ৯ জনের নাম যুক্ত হওয়ায় এজাহারনামীয় ৫ জনকে আসামি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। চার্জশিটে যাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন সরকার, ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক একরামুল হক, সাবেক ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী ও মহাব্যবস্থাপক গোপাল চন্দ্র সাহা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।