বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন। আলম নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার তল্লা সুপারীবাগ এলাকার বেনু মিয়ার ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আলম আদালতে বলেছেন, তিনি একাই বাবলুকে হত্যা করেছেন। গত ৭ অক্টোবর দিনগত রাতে বাবলু হাজীগঞ্জ বাজারে জাফরের চায়ের দোকানে চা খেতে যান। সেখানে আগে থেকেই বসে ছিলেন আলম। এ সময় আলমকে কাজ করো না ঘুরে ফিরে কি করো জিজ্ঞাসা করে বাবলু। এনিয়ে তর্কে জড়িয়ে আলম কয়েকটি ঘুষি দেয় বাবলুকে। এতে বাবলু মাটিতে পড়ে গেলে আলম আরও কয়েকটি লাথি দেয়। এক পর্যায়ে বাবলু অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয়রা আলমকে চাপ দেয় তাকে হাসপাতালে নিতে। তখন আলম বাবলুকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান। বাবলুর ভাইয়েরা বিষয়টি জানতে পেরে আলমকে তাদের বাসায় মারধর করেন। এক পর্যায়ে আলম একাই রিকশায় উঠিয়ে বাবলুকে খানপুর ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। এ সময় পেছনে বাবলুর ভাইয়েরাও আসে। হাসপাতালের চিকিৎসক যখন বাবলুকে মৃত ঘোষণা করেন তখন আলম পালিয়ে যান।
এর আগে, বাবলু হত্যা মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খন্দকারের পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার (১২ অক্টোবর) ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
এদিকে, বাবলু হত্যার ঘটনায় তার ভাই মাজহারুল হক খোকন বাদী হয়ে আলমসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অপর তিন আসামি হলেন আলমের ভাই রাকিব ও তাদের ফুফাতো ভাই পলাশ এবং মাদকবিক্রেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত খালেক বেপারি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
আরআইএস/