বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকেই দেশ-বিদেশ থেকে আসতে শুরু করেছেন ভক্তরা।
এ উপলক্ষে সেখানে মেলা বসেছে।
এসপি শহিদুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, এবারের উৎসব সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলমকে বিশেষ দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সার্বিকভাবে তিনি নিরাপত্তার বিষয়টি মনিটরিং করছেন বলেও জানান এসপি শহিদুল্লাহ।
ঠাকুর নরোত্তম দাস ১৫৩১ সালে তৎকালীন গড়েরহাট পরগণার অন্তর্গত বর্তমানের গোদাগাড়ী উপজেলার গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম জমিদার কৃষ্ণনন্দ দাস ও মা নারায়নী রাণী। গোপলপুরে শৈশব পার করে ঠাকুর নরোত্তম দাস বৃন্দাবন অভিমুখে যাত্রা করেন।
ঠাকুর নরোত্তম দাসের জীবনী থেকে জানা যায়, বিশ্ব বিখ্যাত বৈষ্ণব ধর্মযাজক শ্রী চৈতন্য দেবের ভাবশিষ্য শ্রী নরোত্তম দাস ১৫৩১ সালে মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর প্রেমতলীর খেতুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শ্রীকৃষ্ণ নন্দ ছিলেন তৎকালীন গৌড় রাজ্যভুক্ত এ এলাকার ভূস্বামী। বাবার বিত্তবৈভব ফেলে তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে সংসারের মায়া ত্যাগ করে পায়ে হেঁটে চলে যান ভারতের বৃন্দাবনে বৈষ্ণব ধর্মযাজক শ্রী চৈতন্য দেবের সান্নিধ্য লাভের আশায়। বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারের উদ্দেশে শ্রী নরোত্তম ফিরে আসেন নিজ গ্রাম খেতুরে। প্রয়াত সেই ধর্মযাজকের তিরোভাব স্মরণে ১৫৮১ সাল থেকে এখানে এক মিলনমেলায় এ মহোৎসব পালিত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এসএস/আরআইএস/