বুধবার (১৬ অক্টোবর) হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন একেএম মোস্তাফিজুর রহমান শোকজের চিঠি দিয়ে আগামী তিনদিনের মধ্যে ক্লিনিকটি বন্ধ রাখার কারণ জানাতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শোকজ চিঠি পাওয়ার পর বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন দায়িত্ব অবহেলাকারী ওই কর্মচারী।
সিভিল সার্জন বাংলানিউজকে জানান, অনিয়মের খবর পেয়ে তিনি আজমিরীগঞ্জের বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনে যান। এ সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ রাখার প্রমাণ পেয়েছেন। তিনদিনের মধ্যে সঠিক জবাব দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি হাওরবাসীর সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান।
সম্প্রতি আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আজিমপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তালাবদ্ধ ছিল। এ ব্যাপারে জানার জন্য মোবাইল ফোনে বার বার কল দেওয়ার পরও রিসিভ করেননি দায়িত্বরত হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে জানা যায় তিনি উপজেলার বাইরে। স্থানীয়রা জানান, এটা এ কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রায় রোজকার চিত্র।
শুধু আজিমনগরই নয় সম্প্রতি কয়েকদিনে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর, জলসুখা, বদলপুর ও কাকাইলছেও এবং বানিয়াচং উপজেলার কাদিরগঞ্জ, কাগাপাশা এবং দৌলতপুর এলাকার ছয়টি কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে পাওয়া যায়নি দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে। অভিযোগ রয়েছে- নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো ক্লিনিক খুলে কিছুক্ষণ বসে তালাবদ্ধ করে চলে যান কর্মচারীরা। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের বিনামূল্যে ৩০ প্রকার ওষুধ দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। এ ব্যাপারে বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়ে-চড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এসএইচ