শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সীমান্ত এলাকা দিয়ে দেশত্যাগের প্রস্তুতিকালে সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া চারজন হলেন- নিহত রিয়াদের চাচাতো ভাই আসাদুজ্জামান স্বপন, চাচা জজ মিয়া, চাচি সাবিনা আকতার ও চাচাতো বোন তানজিয়া আকতার শিখা।
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, রিয়াদ হত্যার ঘটনায় তার বাবা রাজু মিয়া বাদী হয়ে আট স্বজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিনই রিয়াদের খালা হাসনা আকতারকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার চারজনকে গ্রেফতারের মাধ্যমে এ মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো।
পারিবারিক কলহের জেরেই রিয়াদকে হত্যা করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মামলার এজাহারভুক্ত বাকি তিনজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরখানের মধ্যপাড়া তালতলা মিয়াবাড়িতে নিজেদের বাসার সামনে হামলার শিকার হয় আনোয়ারা মডেল স্কুলের ছাত্র রিয়াদ (১৫) ও তার বড় ভাই রিজন (১৮)। পুরনো বিরোধের জেরে চাচাতো ভাই স্বপনের ছুরিকাঘাতে রিয়াদ আহত হন বলে জানান স্বজনরা।
আহত রিয়াদকে প্রথমে টঙ্গী হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিয়াদ মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
পিএম/এসএ