বেশি মুনাফার আশায় এক শ্রেণির অসাধু জেলে নদীতে মাছ শিকার করছেন। জেলেরা বলছেন, পেটের দায়ে ইলিশ শিকার করছেন তারা, নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকারি বরাদ্দের চাল সবার ভাগ্যে জোটেনি।
সূত্র জানায়, সরকারি হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় ভোলার সাত উপজেলায় এক লাখ ৩২ হাজার জেলে থাকলেও পুরো জেলায় দুই লাখের অধিক জেলে রয়েছে যারা মৎস্য শিকার পেশার ওপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন এসব জেলে। কিন্তু ইলিশ প্রজনন মৌসুম ৯-৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছে ওইসব জেলেরা। এতে অভাব অনটন আর অনিশ্চয়তা মধ্যে পড়ছে জেলেরা। সরকারের পক্ষ থেকে জেলে পুনর্বাসনের চাল দেওয়া হলেও তা অনেকের ভাগ্যে জোটেনি। এতে অভাবের তাড়নায় অনেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলে বাংলানিউজকে জানান, যাদের জেলে কার্ড রয়েছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ জেলে পুনর্বাসনের চাল পেলেও বেশিরভাগ জেলের ভাগ্যে জোটেনি চাল। তাই চুরি করে নদীতে নেমে পড়ছেন জেলেরা। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞার সময়ে বিভিন্ন এনজিওকে জেলেদের কাছ থেকে কিস্তি সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ হচ্ছে না। এতে নিরুপায় হয়ে জেলেরা ইলিশ শিকারে নামছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর চাহিদার বিপরীতে চাল বরাদ্দ হয়েছে ৮৮ হাজার ১১১ জনের নামে। যাদের ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রায় ৪০ হাজার জেলের ভাগ্যে চাল জোটেনি।
জেলা মৎস্য কর্তকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মা ইলিশ রক্ষায় দিন-রাত মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করছে। দু’একটি জেলে মাছ ধরতে পারে তবে আমরা অভিযান জোরালো করেছি। আইন অমান্য করায় এ পর্যন্ত ১৭০ জন জেলেকে কারাদণ্ড ও প্রায় তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যেসব এনজিওর টাকা আদায় করছে খোঁজ নিয়ে ওইসব এনজিওকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
এনটি