ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘দেশের উন্নয়নের বড় কারণ পরিকল্পনা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
‘দেশের উন্নয়নের বড় কারণ পরিকল্পনা’ বক্তব্য রাখছেন আবুল কালাম আজাদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নের পেছনে বড় কারণ হচ্ছে পরিকল্পনা।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে জাতীয় জীবপ্রযুক্তি মেলা ২০১৯-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আবুল কলাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশ একটি ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে।

সবজি উৎপাদন, ফসল উৎপাদন সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এগোচ্ছে। দেশের সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে পরিকল্পনা। ২০০৯ সালে সরকার ঘোষণা করেছে ২০২১ সালে দেশটি কোথায় যাবে।

তিনি বলেন, আমরা সাধারণত পাঁচ বছরের পরিকল্পনা করেই সন্তুষ্ট ছিলাম। ২০০১ সালের পর থেকে পাঁচ বছরের পরিকল্পনাও হারিয়ে গিয়েছিল। সরকার সেখানে থেমে থাকেনি। ২০৭১ সালে স্বাধীনতার একশ’ বছর পূরণ হবে। বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান তৈরি করেছে। ডেল্টা প্ল্যান হচ্ছে ২১০০ সালে বাংলাদেশ কোথায় থাকবে? বিশ্বের একমাত্র দেশ বাংলাদেশ, যে এত দীর্ঘমেয়াদী (৮২ বছরের) পরিকল্পনা করেছে।

১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কথা উল্লেখ করে আবুল কলাম আজাদ বলেন, বাঙালি জাতিকে দাবায়া রাখতে পারবা না। এই যে দাবায়া রাখতে পারব না- আপনি আমি যদি সব ক্ষেত্রে অন্তরে ধারণ করি, তাহলে সব কাজে, সব সমস্যার সমাধান ও উন্নয়ন করা সম্ভব।

মেলায় অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা যদি টেকসই উন্নয়ন বিবেচনা করি, তার জন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা এমনি এমনি হয়নি। আপনার, আপনার প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের গবেষণায় নানাভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। আগামী দিন হচ্ছে গবেষণা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার দিন। আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে গবেষণা করছি। আমরা প্রতি বছর নতুন নতুন প্রযুক্তি ও জ্ঞানের সন্ধান পাবো, যা আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।  

গবেষণায় সহযোগিতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, কার্যকরী উদ্যোগ নিলে আমার এসডিজি অফিস থেকে যদি কোনো সহযোগিতা লাগে, সে বিষয়ে আমরা সহযোগিতা করবো। আমি এ বিষয়ে অনুরোধ করবো, বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় যেন উদ্যোগ গ্রহণ করে। এজন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত তহবিল দেওয়া হবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
এমএমআই/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।