শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সিকান্দার হক, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু তাহের, সিপিবি নেতা লুনা নূর, ট্রেড ইউনিয়নের মহানগর সাধারণ সম্পাদক আসলাম খান, গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের নেতা মনজুর মঈন, বাপা’র কেন্দ্রীয় নেতা মীর বিশ্বাস, প্রগতিশীল ইঞ্জিনিয়ার সংগঠনের রাশেদুল ইসলাম রিপন, প্রগতি লেখক সংঘের কামরুজ্জামান হীরা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কোনো হত্যার সঠিক বিচার বাংলাদেশে হয় না। নতুন কোনো ঘটনা ঘটলেই সবাই পুরনো ঘটনা ভুলে যায়। বিচারহীনতার কারণে দেশের অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত সময়ে যতো ছাত্র নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টর্চার সেল অচিরে বন্ধ করতে হবে। আমরা এ ন্যাক্কারজনক হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাই। আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ নিহতের পরিবারের সব সমস্যার সমাধান চাই।
এছাড়া ভারতের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দেশের স্বার্থ রক্ষার দাবি জানান বক্তারা। তারা বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার, ফেনীর নদীর পানি ত্রিপুরায় সরিয়ে নেওয়া এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে গ্যাস পাঠানোর যে চুক্তি করা হল তা স্পষ্টভাবে সংবিধান পরিপন্থি। বুন্ধত্ব হয় সমতার ভিত্তিতে লেনদেনের ওপর। কিছুই না পেয়ে শুধু একতরফা দিয়ে যাওয়াকে কি বন্ধুত্ব বলে? নিজেদের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে চুক্তি করার চেয়ে কোনো চুক্তি না থাকা ভালো। দ্রুত তিস্তা সমস্যার সমাধান করতে হবে। ফারাক্কা সমস্যার সমাধান না করে ফেনী নদীর পানি ভারতকে দেওয়া যাবে না।
ক্যাসিনো নিয়ে বক্তারা বলেন, ক্যাসিনোর মাধ্যমে এদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা জুয়াড়িদের কাছে চলে গেছে। এসব টাকা জনগণের সাদা টাকা। যারা জনগণের এ সাদা টাকা কালো টাকায় পরিণত করেছে, যারা ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত তারা সবাই আওয়ামী লীগের, যুব লীগের নেতাকর্মী, এটা সরকার নিজেই বলেছে। তাই যারা এ ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠা করেছে, যারা মূল হোতা তাদের গ্রেফতার করা হোক, বিচোরের আওতায় আনা হোক।
এছাড়া সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, প্রগতি লেখক সংঘ, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি, সিপিবি নারী সেল, ইঞ্জিনিয়ারস অ্যান্ড আর্কিটেক্টস ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট, বাংলাদেশ প্রাইভেট কারস ড্রাইভারস ইউনিয়ন, রণেশ দাশগুপ্ত চলচ্চিত্র সংসদ প্রভৃতি সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
এইচএমএস/ওএইচ/