সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কাকচিড়া ইউনিয়নের রুপধন গ্রামের একটি কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
জানা গেছে, গত ১০ আগস্ট বরগুনার বিষখালী নদী থেকে হাত পা বাঁধা মস্তকবিহীন একটি মরদেহ উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানা পুলিশ।
পরে পাথরঘাটার কাকচিড়া ইউনিয়নের রুপধন গ্রামের ফারুক আকন নামে নিখোঁজ এক ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করে স্বজনরা দাফন করে মরদেহটি।
পাথরঘাটার রুপধন গ্রামের ফারুক আকন নামে একজন নিখোঁজ হলে ফারুকের বড় ভাইয়ের স্ত্রী পাথরঘাটা থানায় গত ৩০ জুলাই সাধারণ ডায়েরি করেন।
অপরদিকে বরগুনা সদর উপজেলার ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের আব্দুর রহিম খানের ছেলে সোহেল খান নিখোঁজ হলে (১ আগস্ট) বরগুনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এদিকে ওই মরদেহটির ডিএনএ টেস্ট করে জানা যায় সেটি সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রামের রহিম খানের ছেলে সোহেল খানের।
ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হলে আদালত জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় মরদেহটি উত্তোলন করে সোহেলের বাবা আব্দুর রহিম খানের কাছে হস্তান্তরের জন্য।
বরগুনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ানুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশে সোহেলের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত সোহেলের মা-বাবার বলেন, যেদিন মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছিল সেদিন বরগুনা সদর থানার পুলিশ যদি তাদের ডেকে মরদেহ শনাক্ত করার জন্য বলতো তাহলে এ দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। সোহেলের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
আরএ