সোমবার (২১ অক্টোবর) তদন্তের বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা।
জানা যায়, ইতোমধ্যে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর (সাহেবেরহাট) থানা কর্তৃপক্ষ তাদের হেফাজতে নিয়ে এসেছে।
বিএমপির উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা জানান, ঘটনার তদন্ত শেষে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে থানা পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, যেহেতু ওই দুই পুলিশ সদস্যকে অন্য একটি জেলার নদী থেকে আটক করা হয়েছে তাই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন তারা সেখানে গিয়েছিলেন, তাদের সঙ্গে পুলিশের আর কে কে ছিল। সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিষয়টি তদন্তাধীন তাই বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তেতুলীয়া নদীর ধুলিয়া পয়েন্টে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর (সাহেবেরহাট) থানার কনস্টেবল জুলফিকার ও মোহাম্মদ আলীকে আটক করে স্থানীয় প্রশাসন। ওই অভিযানে আরও ৪ জেলেকে আটক করা হয়। এসময় জব্দ করা হয় মা ইলিশ।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল্যাহ জানান, রোববার বিকেলে বাউফল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং নৌ পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল অভিযানে নামে। এসময় তেতুলিয়া নদীর ধুলিয়া পয়েন্টে ইলিশ ধরছে এমন একটি ট্রলার আটক করা হয়। ওই ট্রলারেই ছিলেন বরিশাল বন্দর থানার মো. জুলফিকার ও মোহাম্মদ আলী নামের দুই পুলিশ সদস্য। এসময় ৪ জেলেকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় দু’টি স্পিড বোটসহ অন্যরা পালিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
এমএস/এইচএডি