সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মহানগরীর ভদ্রা জামালপুর রেলক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মহানগরীর মতিহার থানার ধরমপুর এলাকার মৃত জাহাঙ্গীর আলম মাখনের ছেলে কামরুজ্জামান রুবেল (৩০) ও তার মেয়ে রুবাইয়া খাতুন (৩)।
জিআরপি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সোমবার দুপুরে রেলস্টেশন থেকে ২টা ১৫ মিনিটের খুলনাগামী আন্তঃনগর ট্রেন কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি বিলম্ব করে। পরবর্তীতে সাড়ে ৩টার দিকে সেটি ভদ্রা জামালপুর রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। সে সময় রেলক্রসিং পার হতে গিয়ে কামরুজ্জামান রুবেল ও তার মেয়ে ট্রেনে কাটা পড়েন। এর মধ্যে রুবেল ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পরে স্থানীয়ারা মুমূর্ষু অবস্থায় তার শিশুকন্যাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে শিশুটিরও মৃত্যু হয়। আশপাশের লোকজন এটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করলেও ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
একই কথা বলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ ইকবাল। তিনি জানান, এটি একটি দুর্ঘটনাই।
রেলক্রসিংয়ে গিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে রুবেল ও তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন এমন তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এরপরও এ ব্যাপারে আরও তদন্ত করে দেখা হবে। এছাড়া নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি। এ ঘটনায় জিআরপি থানা ও রাজপাড়া থানায় পৃথক মামলা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
নিহতদের মধ্যে রুবেলের মরদেহ বর্তমানে জিআরপি থানাপুলিশের হেফাজতে আছে। শিগগিরই তার মরদেহ ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। তার শিশুকন্যার মরদেহ আগে থেকেই সেখানে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
এসএস/এইচজে