ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
সে উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিন বেপারীর পুত্র এবং বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নাসির উদ্দিন বেপারী জানান, গত ৫ অক্টোবর রাতে (দুর্গাপূজার সময়) পূজামণ্ডপে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ইমাম হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় একই গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র নুরুন নবী, তার তিন সহযোগী হাসান, সোহেল ও মুন্না।
রাতে ঘুরে বেড়ানোর এক পর্যায়ে বন্ধুদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হলে ইমাম হোসেনকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় নুরুন নবী ও তার সহযোগীরা। এমনকি আহতাবস্থায় ইমামকে নুরুন নবীর বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতনও করা হয়।
পরদিন ৬ অক্টোবর দুপুরে ইমামকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু ২০ চিকিৎসার পরও বাঁচানো যায়নি তাকে।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার পর স্কুলছাত্র ইমাম হোসেনের বাবা নাসির উদ্দিন বেপারী বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার মামলা করেছিলেন। এরপর যেহেতু ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে, তাই হত্যার ধারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হবে মামলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
এমএস/এইচএ/