সোমবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নজরুল ওই এলাকার আজগর আলীর ছেলে ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ধর্ষক নজরুলকে আটকের পর সোমবার মনপুরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওই মামলায় আরও ৫ আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
তিনি বলেন, ভিকটিম নারীর মেডিক্যাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তাকে নিজ জিম্মায় বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণ মামলার অপর আসামিরা হলেন- বেল্লাল পাটোয়ারী (৩৫), রাসেদ পালোয়ান (২৫), শাহীন খান (২২), কিরণ (২৬) ও ধর্ষণে সহযোগিতাকারী স্পিডবোট চালক রিয়াজ। এদের সবার বাড়ি দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাবার বাড়ি থেকে আড়াই বছরের সন্তানকে নিয়ে মনপুরা যাওয়ার জন্য চরফ্যাশনের বেতুয়া লঞ্চ ঘাটে আসেন তিনি। ঘাটে এসে দেখেন লঞ্চ ছেড়ে চলে গেছে। পরে স্পিডবোটে ওঠেন। বোটে সেসময় দু’জন পুরুষ যাত্রী ছিলেন। পথিমধ্যে খালপাড় থেকে আরও দু’জন যাত্রী ওঠে। একপর্যায়ে ৪ যাত্রী মিলে স্পিডবোটটি নির্জন চরপিয়াল নিয়ে যেতে বাধ্য করে। গৃহবধূকে চরে নিয়ে বাগানের মধ্যে গণধর্ষণ করে ওই চার যাত্রী। পরে স্পিডবোট চালক রিয়াজ বোটটি চালিয়ে জনতা ঘাটে এসে বোটের মালিক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুলকে জানায়। সাবেক সভাপতি একই স্পিডবোটে করে চরপিয়াল যায়। ওই সময় নজরুল ৪ ধর্ষণকারীকে মারধর করে তিন হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে নজরুল নিজেও ওই গৃহবধূকে সেখানে ধর্ষণ করে। এরপর গৃহবধূকে ১ হাজার টাকা দিয়ে নিজের কাছে দুই হাজার টাকা রাখে সে।
বাদী এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, নজরুল ধর্ষণের ঘটনাটি ভিডিও করে তার নাম না বলার জন্য হুমকিও দিয়েছে। যদি বলে তাহলে ফেসবুকে ওই ভিডিও ছেড়ে দেবে বলেও হুমকি দেয় সে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এসএইচ