ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

যুবলীগের বহিষ্কৃত কাজী আনিছ ও তার স্ত্রীর নামে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
যুবলীগের বহিষ্কৃত কাজী আনিছ ও তার স্ত্রীর নামে মামলা

ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যুবলীগের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিছুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়। দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, আসামি কাজী আনিছুর রহমান ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নিজ নামে ও বেনামে অর্জিত ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং এক কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ৮২১ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে লেভেল ১ ফ্ল্যাট জমির মূল্য ২৮ লাখ ৭০ হাজার, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রসুলপুরে ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ জমির মূল্য ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬০০ টাকা, ঢাকার আর কে মিশন রোডে আমিন ভবনের পঞ্চম তলায় ১৩০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটসহ কার পার্কিংয়ের মূল্য ৩২ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ঢাকার স্বামীবাগ রোডে ৮২০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের মূল্য ১৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ধানমন্ডি রোড নম্বর-৭ এ একটি ফ্লাট, ঢাকার শুক্রাবাদের শেরেবাংলা নগর ৭৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, ধানমন্ডি ১৫ নম্বর রোডের একটি ফ্ল্যাটসহ সর্বমোট ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। একইভাবে আরফিন এন্টারপ্রাইজ কোম্পানির শেয়ার মূল্য ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্টেশনের শেয়ার মূল্য ৩৬ লাখ টাকা, প্রাইজবন্ড তিন লাখ টাকা, গাড়ি মূল্য ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১ কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ৮২১ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র অনুসারে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংকে রক্ষিত ব্যাংক এশিয়া, প্রাইম ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল) ব্যাংক, স্ট্যান্ডার ব্যাংক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের কারেন্ট একাউন্ট, সেভিং একাউন্ট, এফডিআর (ব্যাংকে স্থায়ী আমানত), এইচটিসিসহ বিভিন্ন ফর্মে ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬৭ হাজার ৪৯৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। যা তার আয়কর নথিতে উল্লেখ নেই। অর্থাৎ কাজী আনিছুর রহমান অস্থাবর ও স্থাবর সর্বমোট ১২ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ৯২০ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। যার স্বপক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট বৈধ উৎস নেই। যা তার সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জিত সম্পদ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার ঘটনার সময় ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১ অক্টোবর ২০১৯ সাল পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে তিনি এইসব অবৈধ অর্জন করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
এসএমএকে/ওএইচ/এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।