বুধবার (৩০ অক্টোবর) মধ্যরাতে নদীতে মাছ শিকার শুরু হয়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে জাল, নৌকা নিয়ে নদীতে নামেন তিনি।
বশির বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম দিন নদীতে ইলিশ ধরতে গিয়ে ৩২ পিস মাছ পেয়েছি। আড়তে ১৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এতে আমরা অনেক খুশি।
রাজাপুর এলাকার লোকমান মাঝি বাংলানিউজকে বলেন, এতদিন খুব কষ্টে দিন কেটেছে। কিন্তু প্রথমদিন নদীতে নেমেই ইলিশ পেয়ে আমরা অনেক খুশি।
বশির ও লোকমানের মতো একই কথা জানান রফিক, আলাউদ্দিন ও সালাউদ্দিনসহ অন্য জেলেরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। জেলেদের হাকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে মৎস্য আড়ৎগুলো।
জেলেরা জানান, ইলিশ শিকারের প্রথম দিনেই জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। এতে সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন তারা।
ইলিশা এলাকার মাছের দালাল মিলন বাংলানিউজকে জানান, নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। প্রথম দিন সাড়ে ৪ লাখ টাকার ইলিশ মোকামে পাঠিয়েছি। ইলিশের আমদানি ভালো থাকায় সবাই খুশি। এ অবস্থা চলতে থাকলে কারো সংকট থাকবে না।
জোরখাল মৎস্য ঘাটের আড়ৎদার মাসুদ রানা বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে ১০টা পর্যন্ত অর্ধকোটি টাকার ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। এখানকার ১৪টি মাছের গদিতে সবাই কম বেশি সন্তুস্ট। বিগত সময়ের চেয়ে এ বছর নিষেধাজ্ঞার পর এত পরিমাণ মাছ কেনা-বেচা হলো।
সূত্র জানায়, ৯-৩০ অক্টোবর ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ নিষিদ্ধ করে মৎস্য বিভাগ। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে ৫৭২ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের ইলিশ অভিযান সফল হয়েছে। মাছ নিরাপদে ডিম ছেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এনটি