ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

রাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংসের হীন উদ্দেশ্যেই জেলহত্যা: লিটন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৯
রাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংসের হীন উদ্দেশ্যেই জেলহত্যা: লিটন

রাজশাহী: জেলহত্যা দিবস রোববার (৩ নভেম্বর)। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর স্বাধীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় এই দিনটি। এদিন কারাগারে শহীদ হন জাতীয় চার নেতার অন্যতম রাজশাহীর এ এইচ এম কামারুজ্জামান হেনা। 

৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের সন্তান রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।  

শনিবার (২ নভেম্বর) এক বাণীতে মেয়র লিটন বলেন, ৩ নভেম্বর বাঙালি জাতির গভীর বেদনার দিন।

জাতি দিনটিকে জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যতম স্থপতি জাতীয় চার নেতাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতীয় চার নেতা স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রধান ভূমিকায় থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। স্বাধীনতাবিরোধী জাতীয় শত্রু ও ঘাতকরা রক্তে অর্জিত বাঙালির রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংসের হীন উদ্দেশ্যেই দেশপ্রেমিকদের হত্যা করেছিল। কিন্তু দেশবাসী সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে সোনার বাংলা গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন।

দেশবাসীর সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা, দারিদ্যমুক্ত, তথ্য-প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। বাংলাদেশ সম্প্রতি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি সবাইকে জাতীয় শত্রুদের বিরুদ্ধে সচেতন হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতাসহ সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।

শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের পুরো নাম আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান (২৬ জুন ১৯২৬-৩ নভেম্বর ১৯৭৫)। তিনি বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন গঠিত অস্থায়ী সরকারের স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। একজন নির্লোভ, সৎ ও দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে তার পরিচিতি ছিল।

বর্তমান নাটোর জেলার অন্তর্গত বাগাতিপাড়ার মালঞ্চী রেলস্টেশন সংলগ্ন নূরপুর গ্রামে মামার বাড়িতে ১৯২৬ সালের ২৬ জুন এ এইচ এম কামারুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন।

তার পৈতৃক বাড়ি ছিল রাজশাহী জেলার কাদিরগঞ্জ মহল্লায়। তিনি জমিদার পরিবারের সন্তান ছিলেন। তার বাবার নাম আবদুল হামিদ ও মায়ের নাম জেবুন্নিসা। তার ১২ ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন প্রথম। তার ডাক নাম ছিল হেনা।

১৯৫১ সালে কামারুজ্জামান জাহানারা বেগমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্ত্রী বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চামরুল গ্রামের আশরাফউদ্দিন তালুকদারের মেয়ে জাহানারা। আশরাফ উদ্দিন তালুকদার ওই অঞ্চলের জোতদার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

পারিবারিক জীবনে তিনি ৬ সন্তানের বাবা। তার বড় ছেলে এ এইচ এম খাইরুজ্জামান লিটন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র। মেজো ছেলে এ এইচ এম এহসানুজ্জামান স্বপন (জন্ম ১৯৬১)। বর্তমানে তিনি একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরিরত রয়েছেন। মেয়েদের নাম ফেরদৌস মমতাজ পলি (জন্ম ১৯৫৩), দিলারা জুম্মা রিয়া (জন্ম ১৯৫৫), রওশন আক্তার রুমী (জন্ম ১৯৫৭) ও কবিতা সুলতানা চুমকি (জন্ম ১৯৬৪)।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এসএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।